আশরাফ মনির, শাল্লা :: সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই-শাল্লা উপজেলায় বৈরী আবহাওয়ায় দুইদিনের টানা বৃষ্টির কারণে ও ভেজাল বীজের খপ্পরে পড়ে চলতি বোরো ধান মৌসুমে বোরো ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক।
শাল্লা উপজেলার ১ নম্বর আটগাঁও ইউনিয়নের আটগাঁও গ্রামের মুসলিম মিয়া বলেন, শ্যামারচর বাজার থেকে হাইব্রিড ৪০ কেজি বীজ আনলেও একটি বীজেও ধান আসেনি। আমার মতো অনেক মানুষই এরকম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের কাছে ধানের কথা বললে উনারা বলেন- আমরা কী করবো? আমরা তো ধানের ভেতর দেখিনি। আবার ধান নিয়ে যান, নতুন করে বীজতলা তৈরি করেন।
এতে চরম হতাশার মধ্যে পড়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা দিরাই-শাল্লার বোরো কৃষকেরা। বোরো ধানের আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করে ২ দিনের আবহাওয়া বৈরীতায় নষ্ট হয়ে গেছে তাদের অনেক বীজতলার চারা। ফলে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বোরো চাষিদের। নতুন করে বীজতলা তৈরি করছেন অনেকে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বোরো আবাদ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষক নবী হুসেন মীর বলেন, দুইদিনের বৃষ্টিতে অনেকের যেমন ক্ষতি হয়েছে, আবার কিছু কৃষকের লাভও হয়েছে। তবে তাদের সংখ্যা খুব নগণ্য।
বাংলা পৌষ মাসের প্রথমেই শুরু হয় এলাকায় পুরোদমে বোরো ধানের চারা রোপণের মৌসুম। কিন্তু এ বছর জমি এবং বীজতলা শুকিয়ে গেছে একই সাথে। যার জন্য কৃষকদের অনেকটাই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
শাল্লা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ভিবুসন চৌধুরী জানান, বৃষ্টির কয়েকদিন আগে যার ধান বাইন করেছেন তাদের তেমন ক্ষতি হবে না। যারা বৃষ্টির আগের দিন বাইন করেছেন তাদের অনেকটা ক্ষতির আশঙ্কা আছে। তবে তেমন ক্ষতি হবে না।
Leave a Reply